Recents in Beach

অভয়নগর থানার ধোপাদি এসএস কলেজের ছাত্র অপহৃত নুরুজ্জামান ৥ বাবু’র পোড়াখালী বাওড়ে কচুরীপানার নীচ হইতে লাশ উদ্ধার। গ্রেফতার ০২, মোবাইল ফোন জব্দ।

অভয়নগর থানার ধোপাদি এসএস কলেজের ছাত্র অপহৃত নুরুজ্জামান ৥ বাবু’র পোড়াখালী বাওড়ে কচুরীপানার নীচ হইতে লাশ উদ্ধার। গ্রেফতার ০২, মোবাইল ফোন জব্দ।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ : 

অভয়নগরণ থানাধীন পোড়াখালী সাকিনের ইমরান গাজীর একমাত্র ছেলে নুরুজ্জামান ৥ বাবু গত ০১/০৬/২০২০ ইং তারিখ রাত ০৮.৩০ ঘটিকার সময় নিখোঁজ হলে নিখোঁজের পিতা ইমরান গাজী ০২/০৬/২০২০ ইং তারিখ দুপুরে অভয়নগর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে । ঐ দিন রাত ০৮.৩০ ঘটিকার সময় নুরুজ্জামান ৥ বাবুর মোবাইল নম্বর হইতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার পিতা ইমরান গাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

গ্রেফতার অভিযান :

এই সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম এঁর নির্দেশক্রমে জেলার গোয়েন্দা শাখার আইটি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দুস্কৃতকারীদের সনাক্ত করে অভয়নগরণ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও অভয়নগর থানা পুলিশ যৌথভাবে পুলিশ কোটচাঁদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাবদালপুর থানার পুলিশের সহযোগীতায় মুক্তিপনের দাবীকারীকে । আঃ রাজ্জাক (৫৫), পিতা- মৃত ওয়াদুদ পাটোয়ারী, সাং- রাজাপুর, থানা- কোটচাঁদপুর, জেলা- ঝিনাইদহকে ০১টি মোবাইল ফোনসহ ০৪/০৬/২০২০ ইং তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করেন। তার স্বীকোরোক্তি মতে তার সহযোগী নুরুজ্জামান ৥ বাবু’র বন্ধু একই গ্রামের মোঃ সরোয়ার খন্দকারের ছেলে রিফাত হোসেন ৥ আউশ (১৯) কে পোড়াখালী সাকিন হইতে গ্রেফতার করেন। ধৃত আসামীদ্বয় স্বীকার করেন অপহৃত ভিকটিম নুরুজ্জামান ৥ বাবুকে ০১/০৬/২০২০ ইং তারিখ রাতেই হত্যা পূর্বক পোড়াখালী বাওড়ে কচুরীপানার নীচে লাশ রেখে দিছে। তাদের উভয়ের স্বীকোরোক্তি ও দেখানো মতে অপহৃত ভিকটিম নুরুজ্জামান ৥ বাবু’র মৃত দেহ রাখার স্থান ০৪/০৬/২০২০ ইং তারিখ ভোর রাত ০৩.৩০ ঘটিকার সময় সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে দিনের বেলায় অদ্য সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় এলাকার সাক্ষীদের সামনে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই সংক্রান্তে নিহত নুরুজ্জামান ৥ বাবু’র পরিবারের পক্ষ থেকে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

উদ্ধারকৃত আলামত :

১। ০১ টি মোবাইল ফোন।

২। অপহৃত ভিকটিমের মৃতদেহ, পরিহিত বস্ত্র।

৩। ভিকটিমের মোবাইল ফোন

৪। ঘুমের ঔষধ ও কোমল পানীয় বোতল।


ধৃত আসামীদের নাম ঠিকানা :

১। আঃ রাজ্জাক (৫৫), পিতা- মৃত ওদুদ পাটোয়ারী, সাং- রাজাপুর, থানা- কোটচাঁদপুর, জেলা-ঝিনাইদহ।

২। মোঃ রিফাত হোসেন আউশ (১৯), পিতা- মোঃ সরোয়ার খন্দকার, সাং- পোড়াখালী, থানা-অভয়নগর, জেলা- যশোর।
হত্যার রহস্য :

ভিকটিম নুরুজ্জামান বাবু স্থানীয় ধোপাদী এসএস কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। কৃষক পিতার একমাত্র পুত্র সন্তান। এলাকার বখাটে আউশের সাথে বন্ধুত্ব হয় এবং মাদকাশক্ত ও নারী আশক্ত হয়ে পড়ে নুরুজ্জামান বাবু। আউশ তার চাচাতো ভগ্নিপতি হত্যার মুল হোতা আঃ রাজ্জাক আউশকে নিয়ে পরিকল্পনা করে, তাকে অপহরণ করে তার বাবার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করবে। সেই মোতাবেক গত ০১/০৬/২০২০ তারিখ রাতে আউশ তার মোবাইল দিয়ে বাবুকে ডেকে আনে এবং ক্লেমন কোমল পানীর সাথে ঘুমের ঔষধ মিশ্রণ করে বাবুকে পান করিয়ে অজ্ঞান করে বাওড়পাড়ে নিয়ে পিছন মোড়া হাত বেঁধে, গলায় রশি দ্বারা প্যাচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বাওড়ের পানার নীচে রেখে দেয়। বাবুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে, বাবুর ব্যবহৃত সীম দিয়ে পরের দিন ২/০৬/২০২০ তারিখ রাত ০৮.০০ ঘটিকাট সময় বাবুর পিতা ইমরান গাজীর মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

ইউটিউবে  লাশ উদ্ধারের ভিডিওটি দেখুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ